অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নতুন বার্তা
- By Jamini Roy --
- 18 November, 2024
সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনের ফাঁকে আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। স্থায়ী সরকার পাঁচ বছরের হয়। তবে মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনায় আমাদের মেয়াদ চার বছরের কম হতে পারে। এটি আরও কম সময়ের জন্য হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ওপর।”
এছাড়া, তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা। এ উদ্দেশ্যে নির্বাচন এবং সরকারব্যবস্থার সংস্কার একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ড. ইউনূস ইঙ্গিত দেন, বাংলাদেশে নতুন সংবিধান কার্যকর হলে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর করা হতে পারে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ আরও কম হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশে সংস্কারের মাধ্যমেই সবকিছু ঠিক হবে। এটি শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সংবিধানসহ সবক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। আমরা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে কাজ করছি।”
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “তিনি বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমরা ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের একচেটিয়া শাসন ব্যবস্থা বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করেছে। তবে বর্তমান সরকার সেই সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জলবায়ু সংকটের সম্মুখীন। নতুন সরকার এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
ড. ইউনূস নিশ্চিত করেন, “আমরা কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। জনগণ চাইলে নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করা হবে। অন্যথায় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার পরে নির্বাচন হবে।”
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ জনগণের প্রত্যাশার ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে, যেখানে রাজনীতি এবং প্রশাসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তন আনা হবে।